Class VIII Science Suggestion 2023 1st Unit Test

Class VIII 1st Unit Test Suggestion


1.Atom কথাটির উৎপত্তি কোথা থেকে?
উত্তর: Atom কথাটির উৎপত্তি গ্রিক শব্দ Atomos থেকে, যার অর্থ যাকে আর ভাঙা যায়না।
2.কোন ভারতীয় দার্শনিক সর্বপ্রথম পরমাণুর অস্তিত্বের কথা বলেছিলেন?
উত্তর: ভারতীয় দার্শনিক কণাদ সর্বপ্রথম পরমাণুর অস্তিত্বের কথা বলেছিলেন।
3.সর্বপ্রথম কে পরমানুর ধারনা দেন?
উত্তর: গ্রিক দার্শনিক ডেমোক্রিটাস আজ থেকে প্রায় 2500 বছর আগে সর্বপ্রথম পরমানুর ধারনা দেন।
4.পরমাণুবাদের জনক কে?
উত্তর: পরমাণুবাদের জনক হলেন বিজ্ঞানী জন ডাল্টন।
5.ডাল্টনের পরমাণুবাদ গুলি লেখ।
6.1808 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী জন ডাল্টন তার অনুবাদ প্রকাশ করেন। এতে বলার ছিল-
(i) মৌলের ক্ষুদ্রতম অবিভাজ্য কণা হলো পরমাণু যা সৃষ্টিও করা যায় না আবার ধ্বংসও করা যায় না।
(ii) একই মৌলের পরমাণুর ভর ও রাসায়নিক ধর্ম একই রকম।
(iii) ভিন্ন ভিন্ন মৌলের পরমাণুর ভর ও রাসায়নিক ধর্ম আলাদা।
(iv) রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় বিভিন্ন মৌলের পরমাণুরা পূর্ণসংখ্যার অনুপাতে যুক্ত হয়ে যৌগ গঠন করে।
7. ডাল্টনের পরমাণুবাদের ত্রুটি গুলি লেখ।
উত্তর: আধুনিক বিজ্ঞানের মাধ্যমে পরমাণু সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানার পর ডাল্টনের পরমাণুবাদের ত্রুটি গুলি সহজেই সনাক্ত করা গেছে। ডাল্টনের পরমাণুবাদের ত্রুটি গুলি হল-
(i)পরমাণু কি ভাঙ্গা যায় এবং আরো ক্ষুদ্র কণা যেমন ইলেকট্রন প্রোটন নিউট্রন ইত্যাদি পাওয়া যায়। অর্থাৎ ডাল্টনের পরমাণুবাদে পরমাণু অবিভাজ্যতা ঠিক নয়।
(ii)ডাল্টনের পরমাণুবাদ অনুযায়ী একই মৌলের পরমাণুর ভর ও রাসায়নিক ধর্ম এ কি হবে কিন্তু আইসোটোপ আবিষ্কার হওয়ার পর জানা গেছে একই মৌলের ভিন্ন ভর বিশিষ্ট পরমাণু থাকতে পারে।
(iii)পরমাণুবাদ অনুযায়ী ভিন্ন মৌলের পরমাণুর ভর ও ধর্ম ভিন্ন হয় তবে আইসোবার আবিষ্কার হওয়ার পর জানা গেছে ভিন্ন মৌলের পরমাণুর ভর একই হতে পারে।
7. সর্বপ্রথম কে অনুর ধারণা দেন?
উত্তর: বিজ্ঞানী অ্যামোদিও অ্যাভোগ্যাড্রো সর্বপ্রথম অনুর ধারণা দেন।
8. অনুবাদ এর জনক কে?
উত্তর: বিজ্ঞানী অ্যামোদিও অ্যাভোগ্যাড্রো।
9. পরমাণু প্রধানত কোন কোন কণা দিয়ে গঠিত?
উত্তর: পরমাণু প্রধানত ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন কণা দিয়ে গঠিত।
10. পরমাণুর মধ্যে সবচেয়ে ভারী কনা কোনটি?
উত্তর: পরমাণুর সবচেয়ে ভারী কনা হলো নিউট্রন।
11. পরমাণুর মধ্যে সবচেয়ে হালকা কণা কোনটি?
উত্তর: পরমাণুর মধ্যে সবচেয়ে হালকা কণা হলো ইলেকট্রন।
12. ইলেকট্রন কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর: বিজ্ঞানী জে জে থমসন ইলেকট্রন আবিষ্কার করেন।
13. ইলেকট্রন কনার নামকরণ কে করেন?
উত্তর: ইলেকট্রন কণা নামকরণ করেন বিজ্ঞানী জর্জ স্টোনী।
14. প্রোটন কণা কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর: বিজ্ঞানী রাদারফোর্ড 1920 সালে প্রোটন কণা আবিষ্কার করেন।
15. পরমাণুর ভিতরে আধানহীন কণার নাম কি?
উত্তর: পরমাণুর ভিতরে আধান বিহীন কণার নাম নিউট্রন।
16. নিউট্রন কণার আবিষ্কারক কে?
উত্তর: নিউট্রন কণার আবিষ্কারক রাদারফোর্ডের ছাত্র স্যাডউইক।
17. রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলের সংক্ষেপে বিবরণ দাও।
উত্তর: বিশেষ বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে বিজ্ঞানী রাদারফোর্ড পরমাণু সম্বন্ধে কিছু সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন। একেই রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল বলে। তার মতে –
(i) পরমাণুর মধ্যে বেশিরভাগ জায়গাই ফাঁকা।
(ii) পরমাণুর প্রায় সমস্ত ভরই তার মাঝখানে অতি অল্প জায়গায় জড়ো হয়ে থাকে। তিনি এই ভারী অংশের নাম দিলেন নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্রক।
(iii) পরমাণুর নিউক্লিয়াস এর মধ্যেই তার সমস্ত ঋণাত্মক আধান সীমাবদ্ধ থাকে।
(iv) নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ইলেকট্রনগুলো নানান বৃত্তাকার কক্ষপথে ঘুরছে।
18. পরমাণুর নিউক্লিয়াস কাকে বলে?
উত্তর: পরমাণুর প্রায় সমস্ত ভরই তার মাঝখানে অতি অল্প জায়গায় পুঞ্জিভূত থাকে। পরমাণুর মাঝখানের এই ভারী অংশকে নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্রক বলে।
19. পরমাণু ক্রমাঙ্ক কাকে বলে?
উত্তর: পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটিন সংখ্যাকে তার পরমাণু ক্রমাঙ্ক বা অ্যাটোমিক নাম্বার ( Atomic number ) বলে।
20. পরমাণুর ভর সংখ্যা কাকে বলে?
উত্তর: পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার যোগফলকে পরমাণুর ভর সংখ্যা বা Mass Number বলে।
21. নিউক্লিয় বল কাকে বলে?
উত্তর: পরমাণুর নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রনের মধ্যে একটি তীব্র তড়িৎ আকর্ষণ বল কাজ করে। এই শক্তিশালী আকর্ষণ বল কে নিউক্লিয় বল বলে। নিউক্লিয় বলের জন্য একাধিক প্রোটন ধনাত্মক তড়িৎযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও একসাথে থাকতে পারে।
22. পরমাণু ক্রমাঙ্ক কথাটাকে সংক্ষেপে কি বলে?
উত্তর: পরমাণু ক্রমাঙ্ক কথাটাকে সংক্ষেপে ক্রমাংক বলে।
23. নিচের লিথিয়াম সোডিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও ক্লোরিন পরমাণুর ছবি দেখে পরমাণুর চিহ্ন, প্রোটন, ইলেকট্রন, নিউট্রন, পরমাণু ক্রমাঙ্ক , ভরসংখ্যা কত তা লেখ।
▣ লিথিয়াম পরমাণুর চিহ্ন, প্রোটন, ইলেকট্রন, নিউট্রন, পরমাণু ক্রমাঙ্ক ও ভরসংখ্যা
24. আইসোটোপ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: যেসব পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা সমান কিন্তু নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন তাদের পরস্পরের আইসোটোপ বলে। যেমন ¹H1 ও 1H ও 1H3 হাইড্রোজেনের আইসোটোপ।
25. আইসোবার কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: ভিন্ন মৌলের যেসব পরমাণুর ভর সংখ্যা অর্থাৎ নিউট্রন ও প্রোটন সংখ্যার সমষ্টি সমান তাদের পরস্পরের আইসোবার বলা হয়। যেমন – 1H 3 ও 2He 3 পরস্পরের আইসোটোপ।
26. আইসোটোপ আইসোবার এর পার্থক্য লেখ।
আইসোটোপ আইসোবার
আইসোটোপ হলো একই মৌলের পরমাণু। আইসোবার হলো ভিন্ন মৌলের পরমাণু।
 আইসোটোপ গুলির প্রোটন সংখ্যা সমান। আইসোবার গুলির ভর সংখ্যা সমান।
আইসোটোপ গুলির রাসায়নিক ধর্ম একই। আইসোবার গুলির রাসায়নিক ধর্ম ভিন্ন।
27. পদার্থের কয়টি অবস্থা ও কি কি?
উত্তর: পদার্থের প্রধানত তিনটি অবস্থা। যথা : কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় অবস্থা। তবে বর্তমান বিজ্ঞানীদের মতে পদার্থের চতুর্থ অবস্থা রয়েছে যা হলো প্লাজমা অবস্থা।
28. পদার্থের চতুর্থ অবস্থাটি কি?
উত্তর: পদার্থের চতুর্থ অবস্থা হল প্লাজমা অবস্থা। এই অবস্থায় পদার্থের পরমাণুর নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ বল পরমাণুর মধ্যে কার ইলেকট্রন কে ধরে রাখতে পারেনা। এই প্রচন্ড গরম গ্যাসীয় অবস্থায় আলাদা আলাদা হয়ে দৌড়াদৌড়ি করে পরমাণুর নিউক্লিয়াস আর ইলেকট্রন। বিজ্ঞানীদের অনুমান সূর্যের কেন্দ্রে এই প্লাজমার উষ্ণতা প্রায় এক কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস।
29. আয়ন দিয়ে তৈরি এমন কিছু পদার্থের উদাহরণ দাও।
উত্তর: আয়ন দিয়ে তৈরি এমন কিছু পদার্থ হল নুন, পোড়া চুন, কস্টিক সোডা, কলিচুন ইত্যাদি।
আয়নীয় যৌগ
30. আয়নীয় যৌগ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: যেসব যৌগ ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন দিয়ে তৈরি তাদের আয়নীয় যৌগ বলে। যেমন খাবার লবণ বা সোডিয়াম ক্লোরাইড।
31. আয়নীয় যৌগের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর: আয়নীয় যৌগ অ্যানায়ন ও ক্যাটায়ন দ্বারা গঠিত। আয়নীয় যৌগ অনুর অস্তিত্ব নেই।
আয়নীয় যৌগ জলে দ্রবীভূত বা গলিত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহন করতে পারে।
32. নিচের আয়নীয় যৌগগুলিতে উপস্থিত ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন ও সংকেত লেখ।
যৌগগুলির নাম – সোডিয়াম ক্লোরাইড, পটাশিয়াম ফ্লুওরাইড, ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড, জিংক সালফাইড, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, সোডিয়াম অক্সাইড, অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড
33. আস ও ইক উপসর্গ কি?
উত্তর: ধাতুর কম চার্জের আয়নের নামে আস ও বেশি চার্জের আয়নের নামে এক যোগ করে চার্জ কম-বেশির ব্যাপারটা বোঝানো হয়। যেমন – Fe2+ দ্বারা ফেরাস এবং Fe3+ দ্বারা ফেরিক আয়ন বোঝায়।
34. কিউপ্রাস ও কিউপ্রিক আয়নের সংকেত লেখ।
কিউপ্রাস আয়নের সংকেত Cu+ এবং কিউপ্রিক আয়নের সংকেত Cu2+ ।
মূলক (Radical )
35. মূলক কাকে বলে?
উত্তর: একাধিক পরমাণু জোটবদ্ধ হয়ে যে আয়ন তৈরি করে তাকে বলা হয় মূলক বা Radical। যেমন – নাইট্রেট ( NO3- ) মূলক নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন পরমাণু দ্বারা গঠিত।
36.নিচের মূলক গুলির সংকেত লেখ।
মূলকের নাম – অ্যামোনিয়াম, নাইট্রেট, কার্বনেট, সালফেট, হাইড্রাইড, বাইকার্বনেট, ফসফেট, সালফাইট
37. নিচের যৌগ গুলির সংকেত লেখ।
যৌগ গুলির নাম – ফেরাস সালফেট, অ্যালুমিনিয়াম নাইট্রেট, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, ক্যালসিয়াম ফসফেট, অ্যালুমিনিয়াম সালফেট, ফেরিক সালফেট, কিউপ্রিক নাইট্রেট, ম্যাগনেসিয়াম কার্বনেট, ক্যালসিয়াম বাই কার্বনেট, সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড, অ্যামোনিয়াম সালফেট, ক্যালসিয়াম সালফাইট
সমযোজী যৌগ
38. সমযোজী যৌগ কাকে বলে?
উত্তর: যে সমস্ত যৌগের অনু একাধিক পরমাণুর ইলেকট্রন জোড়কে সমান ভাবে ব্যবহার করে গঠিত হয় তাকে সমযোজী যৌগ বলে।
39. সমযোজী যৌগের একটি বন্ধন কটি ইলেক্ট্রন দ্বারা গঠিত?
উত্তর: সমযোজী যৌগের একটি বন্ধন দুটি ইলেক্ট্রন দ্বারা গঠিত।
পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম
1. কোন প্রক্রিয়ায় কর্পূর কে বালির মিশ্রণ থেকে পৃথক করা হয়?
Ans. উর্ধ্বপাতন প্রক্রিয়ায়।
2. উর্ধ্বপাতন প্রক্রিয়ায় পৃথক করা হয় এমন কিছু পদার্থের উদাহরণ দাও।
উত্তর: কর্পূর, ন্যাপথলিন, আয়োডিন, অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড বা নিশাদল ইত্যাদি।
3. পদার্থের ধর্ম কাকে বলে?
উত্তর: প্রত্যেক পদার্থের নিজস্ব কিছু বিশেষ গুণ বা বৈশিষ্ট্য আছে যার সাহায্যে একটা পদার্থকে অন্য একটা পদার্থ থেকে আলাদা করে চেনা যায়। পদার্থের এই গুণ বা বৈশিষ্ট্য গুলো কে পদার্থের ধর্ম বলে।
4. পদার্থের ধর্ম গুলো কে কয় ভাগে ভাগ করা হয় ও কি কি?
উত্তর: পদার্থের ধর্মগুলোকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়। যথা: ভৌত ধর্ম ও রাসায়নিক ধর্ম।
5. ভৌত ধর্ম কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: পদার্থের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য বা গুণ গুলোর সাহায্যে শুধু পদার্থের বাহ্যিক অবস্থা ও প্রকৃতির পরিচয় পাওয়া যায় কিন্তু অভ্যান্তরীণ অনুর গঠন এর পরিচয় পাওয়া যায় না। পদার্থ ও রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবে কি করবে না তাই ধর্ম দিয়ে বোঝা যায় না। এই ধর্মগুলোকে ভৌত ধর্ম বলে। যেমন: ভৌত অবস্থা, বর্ণ, গন্ধ, স্পর্শ, গলনাঙ্ক, স্ফুটনাঙ্ক ও দ্রাব্যতা।
6. রাসায়নিক ধর্ম কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: যে ধর্ম থেকে কোন পদার্থের অন্য পদার্থের সঙ্গে বিভিন্ন বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার প্রবণতা ও ক্ষমতা বোঝা যায় তাকেই ওই পদার্থের রাসায়নিক ধর্ম বলে। যেমন সালফার কে বাতাসে পোড়ালে ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত সালফার ডাই অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয়। এটা সালফার এর রাসায়নিক ধর্ম।
7. ন্যাপথলিন ও কর্পূর এর গুরু কোন ভৌত ধর্মের সাহায্যে পৃথক করবে?
উত্তর: গন্ধ এর সাহায্যে পৃথক করব।
8. অ্যামোনিয়ার গন্ধ কেমন?
উত্তর: অ্যামোনিয়ার গন্ধ তীব্র ঝাঁঝালো।
9. হাইড্রোজেন সালফাইডের এর গন্ধ কেমন?
উত্তর: হাইড্রোজেন সালফাইডের গন্ধ পচা ডিমের মতো।
10. চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয় এমন পদার্থের উদাহরণ দাও।
উত্তর: নিকেল, কোবাল্ট, লোহা, ইউস্লেজ ইত্যাদি।
রাসায়নিক ধর্মের সাহায্যে পদার্থের সনাক্তকরণ
1. নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড এর বর্ণ কেমন?
উত্তর: নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড এর বর্ণ বাদামি।
2. নাইট্রিক অক্সাইড এর বর্ণ কেমন?
উত্তর: নাইট্রিক অক্সাইড বর্ণহীন।
3. এক চামচ চিনি ও এক চামচ নুন দেওয়া হলে তা কিভাবে শনাক্ত করবে?
উত্তর: চিনি ও নুনকে চামচে করে উত্তপ্ত করলে চিনির মধ্যেকার জল বাষ্পীভূত হওয়ার পর কেবলমাত্র কার্বন পড়ে থাকবে এবং প্রথমে বাদামি ও কালো রূপ ধারণ করবে। কিন্তু লবণ সাদা হয়ে যাবে। এইভাবেই চিনি কে সনাক্ত করা যাবে।
4. জল্যুক্ত কিউপ্রিক নাইট্রেট এর কেলাস কে উত্তপ্ত করলে কি ঘটবে?
উত্তর: নীল কেলাস ভেঙ্গে কালো বুড়ো হয়ে যাবে এবং বাদামি গ্যাস নির্গত হবে।
5. কঠিন আয়োডিন কে উত্তপ্ত করলে কি হবে?
উত্তর: কঠিন আয়োডিন কে উত্তপ্ত করলে আয়োডিন এর উর্ধ্বপাতন ঘটবে।
6. ম্যাগনেসিয়াম তারকে উত্তপ্ত করলে কি ঘটবে?
উত্তর: ম্যাগনেসিয়াম তার কে উত্তপ্ত করলে সাদা রঙ্গের ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড উৎপন্ন হবে ও তীব্র আলো উৎপন্ন হবে।
7. টেস্ট টিউবের জিংকের গুড়োর সঙ্গে লঘু সালফিউরিক অ্যাসিড যোগ করলে কি ঘটবে?
উত্তর: টেস্টটিউবে জিংকের গুঁড়োর সঙ্গে লঘু সালফিউরিক এসিড যোগ করলে জিংক সালফেট ও হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হবে। উৎপন্ন গ্যাস বুদবুদ আকারে নির্গত হবে।
Zn + H2SO4 = ZnSO4+ H2
8. টেস্টটিউবে লোহার গুড়োর সঙ্গে সালফিউরিক অ্যাসিড যোগ করলে কি ঘটবে?
উত্তর: লোহার গুঁড়োর সঙ্গে সালফিউরিক অ্যাসিড যোগ করলে ফেরিক সালফেট ও হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হবে।
Fe + H2SO4 = FeSO4+ H2
9. টেস্টটিউবে ফেরাস সালফাইড এর সঙ্গে লঘু সালফিউরিক অ্যাসিড যোগ করলে কি ঘটবে?
উত্তর: টেস্টটিউবে ফেরাস সালফাইড এর সঙ্গে লঘু সালফিউরিক এসিড যোগ করলে পচা ডিমের মতো গন্ধযুক্ত হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস বের হবে ও
FeS + H2SO4 = FeSO4+ H2S
10. দস্তার সংকেত সালফিউরিক কিংবা হাইড্রোক্লোরিক এসিডের বিক্রিয়ায় কোন গ্যাস উৎপন্ন হয়?
উত্তর: হাইড্রোজেন গ্যাস।
11. তড়িৎ ধনাত্মক ধাতু কাকে বলে উদাহরণ দাও।
উত্তর: তালিকায় হাইড্রোজেনের বাঁ দিকে যেসব ধাতু রয়েছে সেগুলি লঘু এসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন উৎপন্ন করতে পারে। এদের তড়িৎ ধনাত্মক ধাতু বলে।
12. গ্রাফাইটের ব্যবহার লেখ।
তেল কিংবা জলের সঙ্গে গ্রাফাইট চূর্ণ মিশিয়ে পিচ্ছিলকারক পদার্থ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
পেন্সিলের শীষ তৈরিতে।
উচ্চ তাপ সহকারি মুচি তৈরি করতে।
তড়িৎদ্বার তৈরি করতে।
মানবজীবনে ও পরিবেশে ধাতু ও অধাতুর ব্যবহার
13. স্টেনলেস স্টিলে উপস্থিত ধাতু ও অধাতুর নাম লেখ।
উত্তর: লোহা ও ক্রোমিয়াম।
14. কলিচুনের উপস্থিত ধাতু ও অধাতুর নাম লেখ।
উত্তর: ক্যালসিয়াম, অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন।
15. মানব দেহে উপস্থিত অক্সিজেনের শতকরা হার কত?
উত্তর: মানব দেহে উপস্থিত অক্সিজেনের শতকরা হার 61.42%
16.. মানব দেহে উপস্থিত কার্বনের শতকরা পরিমাণ কত?
উত্তর: মানব দেহে উপস্থিত কার্বন এর শতকরা পরিমাণ 22.85 শতাংশ।
17. কোন আয়নের পরিমাণ কমে গেলে রক্তচাপ হঠাৎ কমে গিয়ে হৃদপিন্ডের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে?
উত্তর: সোডিয়াম আয়ন (Na+)
18. কোন আয়ন দুটি হৃদপিন্ডের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রিত রাখে?
উত্তর: ক্যালসিয়াম আয়ন (Ca 2+) ও পটাশিয়াম আয়ন (K+)।
18.রক্ত জমাট বাঁধতে কোন আয়ন সাহায্য করে?
উত্তর: ক্যালসিয়াম আয়রন (Ca2+)

Comments

Popular posts from this blog

WBBSE CLASS 9 1ST CHAPTER (জীবন ও তার বৈচিত্র)

অষ্টম শ্রেণীর দ্বিতীয় পর্যায় পরীক্ষার কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর

Physical Excercise