Science-class-7th-wbbse -- পরিবেশ ও বিজ্ঞান সপ্তম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার সাজেশন

সপ্তম শ্রেণী পরিবেশ ও বিজ্ঞান
বার্ষিক পরীক্ষার সাজেশন

১. ল্যাথিরিজম কী?
উঃ ল্যাথারাইজম একটি দক্ষিণ এশিয়ার গ্রীষ্মমন্ডলীয় রোগ। বিশেষ করে শরীরের কম্পন, পেশীবহুল দুর্বলতা, এবং নিম্নাঙ্গ এবং উভয় পদের অসাড়তা, দ্বারা এই রোগ চিহ্নিত করা হয়। এটা সাধারণত খেসারি বীজ অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে হতে পারে।
২. এলার্জি বলতে কী বোঝ ?
উঃ আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি ত্রুটি হল এলার্জি, যেখানে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে। বহিরাগত কোন বস্তুর বিরুদ্ধে দেহের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার একটি প্রতিক্রিয়া হল এলার্জি।
৩. ORS এর পুরো নাম কি ?
উঃ Oral Rehydration Solution .
৪. একটি ভেজাল রাসায়নিকের নাম লেখ
উঃ ইউরিয়া-হাইড্রোজন ।
৫. ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কোন পরিবারের অন্তর্গত?
উঃ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস অর্থোমিক্সোভিরিডি (Orthomyxoviridae) পরিবারের একটি ভাইরাস, যা ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের জন্য দায়ী।
৬. পাস্তুরাইজেশন তাপমাত্রা কি?
উঃ দুধ ও অন্যান্য তরল বিশুদ্ধিকরণর একটি পদ্ধতি। ফরাসি অণুজীববিজ্ঞানী লুই পাস্তুর এই বিশেষ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। পাস্তুরায়নে তাপমাত্রা ৬০° থেকে ৬৩° সেলসিয়াসে ৩০ মিনিট রেখে হঠাৎ করে ১৩° নামিয়ে আনা হয়। এর ফলে দুধের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়াসহ অন্যান্য জীবাণু ধ্বংস হয়
৭. একটি উপকারী ভাইরাসের নাম লেখ।
উঃ ভাজ ভাইরাস।
৮. ডেঙ্গি রোগ ছড়ায় কোন মশা ?
উঃ এডিস মশা
৯. ম্যালেরিয়ার প্রতিশোধক এর নাম কি?
উঃ কুইনাইন
১০. ম্যালেরিয়া জীবাণুর প্রজাতির নাম কি?
উঃ প্লাজমোডিয়াম ম্যালেরি।
১১. জল থেকে কিভাবে কলের রোগের ভাইরাস ছড়ায়?
উঃ সাধারণত আক্রান্ত রোগীর মলের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। সাধারত পয়ঃপ্রণালীর সুষ্ঠু ব্যবস্থার অভাবে আক্রান্ত ব্যক্তির মল, খাবার ও পানির সংস্পর্শে এসে খাবার ও পানিকে দূষিত করে। পরবর্তীতে উক্ত খাবার ও পানি গ্রহণের মাধ্যমে কলেরার জীবাণু সুস্থ মানুষের দেহে প্রবেশ করে আক্রান্ত করে।
১২. বায়ুবাহিত দুটি রোগের নাম লেখ?
উঃ যক্ষ্মা, ফ্লু এবং নিউমোনিয়া
১৩. মানসিক স্বাস্থ্য বলতে কী বোঝো
উঃ মানুষের স্বাস্থ্য হল রোগবালাই মুক্ত সুস্থ শরীর ও সেই সঙ্গে ভয় ,হতাশা ,বিষন্নতা ,মানসিক চাপ থেকে মুক্ত মন এবং সমাজের নানাবিধ চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করতে সক্ষম মন। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে , স্বাস্থ্যের অন্যতম উপাদান হল মনের সুস্থতা বা মানসিক স্বাস্থ্য। মানুষের চিন্তা ,আবেগ ও আচরণ এই তিন মিলেই হল মানসিক স্বাস্থ্য। এককথায় মানসিক স্বাস্থ্য বলতে বোঝায়।
১৪. মানসিক স্বাস্থ্য কিভাবে প্রতিরোধ করা যাবে
১৫. WHO পুরো নামটি কি?
উঃ World Health Organization
১৬. UNICEF এর পুরো নামটি কি?
উঃ The United Nations Children's Fund
১৭. দুটি তেজস্ক্রিয় পদার্থের নাম লেখ
উঃ ইউরেনিয়াম , রেডিয়াম, থরিয়াম
১৮. তেজস্ক্রিয় রশ্মি কিভাবে আমাদের ক্ষতি করে
উঃ ফুসফুস, যকৃতের ক্ষত, ক্যান্সার, রক্তাল্পতা ও রক্ত ক্যান্সার, অস্বাভাবিক, অপূর্ণাঙ্গ ও মৃত শিশুর জন্ম, জরায়ুর ক্যান্সার, স্নায়বিক বৈকল্য ও স্মৃতিশক্তির হ্রাস, দৃষ্টি হীনতা, চামড়া ও হাড়ের ক্যান্সার ইত্যাদি ।
১৯. চিকিৎসা ক্ষেত্রে এক্স রশির ব্যবহার লেখ
উঃ I এক্স-রশ্মির সাহায্যে ফটোগ্রাফিক প্লেটে হাত, পা বা দেহের হাড়ের ছবি পাওয়া যায় । এজন্য শল্য চিকিৎসায় এক্স-রশ্মি অপরিহার্য । (ii) এক্স-রশ্মির জীবন্ত কোশকে ধ্বংস করার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ক্যান্সার, টিউমার প্রভৃতি রোগের চিকিৎসায় এই রশ্মি ব্যবহৃত হয় । একে এক্স-রে থেরাপি বলে ।
২০. ম্যানগ্রোভ জাতীয় উদ্ভিদ কোথায় দেখা যায়
উঃ সমুদ্র উপকূল সংলগ্ন প্রায় সমস্ত জায়গাতেই ম্যানগ্রোভ জাতীয় উদ্ভিদ লক্ষ্য করা যায়।
২১. সুন্দরবনে ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছের নাম লেখ
উঃ সুন্দরী গেও গড়ান কেওড়া ইত্যাদি
২২. সুন্দরবন অরণ্যে কোন ধরনের প্রাণী বেশি দেখা যায়
উঃ রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিতহরিণ, কুমির সাপ।
২৩. সালোকসংশ্লেষ বলতে কী বোঝো
উঃ যে শারীরবৃত্তীয় জৈবনিক প্রক্রিয়ায় ক্লোরোফিল রঞ্জক যুক্ত জীব, মাটি থেকে জল এবং বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে সূর্যালোক ও ক্লোরোফিলের সহয়তায় শর্করাজাতীয় খাদ্য প্রস্তুত করে, সেই জৈবনিক প্রক্রিয়াকে সালোকসংশ্লেষ বলে।
২৪. উদ্ভিদ কোন খাদ্য তৈরি করতে কি ব্যবহার করে
উঃ সবুজ পাতার ক্লোরোফিল সূর্যের আলোক শক্তিকে শোষণ করে পানি ও কার্বন ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করে খাদ্য তৈরি করে।
২৫. জীব বৈচিত্র হ্রাসের কারণ গুলি লেখ
উঃ বন্যা, খরা, ভূমিকম্প, সুনামি : বন্যা, খরা, ভূমিকম্প ও সুনামি ইত্যাদি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে বহু প্রজাতির জীবের বিনাশ ঘটে ও জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
২৬. পৃথিবীতে কতগুলো জাতির প্রাণী প্রায় ধ্বংসের মুখে?
উঃ
২৭. গঙ্গার ____________ বিপন্ন ?
উঃ শুশুক
২৮. পৃথিবীতে কয়টি জীব বৈচিত্রের দেশ আছে
উঃ ১৭টি
২৯. বায়োডাইভারসিটি হটস্পট কাকে বলে
উঃ পৃথিবীর বিশেষ কতকগুলি অঞ্চলে বিশেষ ধরনের প্রাকৃতিক পরিবেশে স্থানীয় উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির সমাবেশে এক উল্লেখযােগ্য বৈচিত্র্য লক্ষ করা যায়। জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ এই অঞ্চলগুলি বাস্তুতান্ত্রিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিত্য প্রয়ােজনে এইরূপ জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ অঞ্চলগুলিতে মানুষের অবাধ অনুপ্রবেশ ও হস্তক্ষেপে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। ফলে এই অঞ্চলের সমস্ত প্রজাতির জীব সংখ্যা অত্যন্ত দ্রুত হারে হ্রাস পাচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে এই সকল বিপন্ন জীব প্রজাতির বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা অধিক। এইরূপ স্থানীয় উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতি সমৃদ্ধ স্বল্প পরিসরে বিস্তৃত বিশেষ প্রাকৃতিক অঞ্চলে নিত্য ভবিষ্যতে বিপন্ন প্রজাতির বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা অধিক এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে তৎপরতা বাড়ে। এইরূপ অঞ্চলকে জীববৈচিত্র্য হটস্পট বা Biodiversity Hotspot বলা হয়।
৩০. প্রবালদ্বীপ কি
উঃ প্রবাল এক ধরনের অমেরুদণ্ডী প্রাণী, বহিরাবরণ শক্ত হওয়ায় এদের পাথরও ভাবা হয়। পলিপ নামের অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণীর সমন্বয়ে তৈরি হয় প্রবাল। এই প্রবালের মাধ্যমে যেই দ্বীপ গড়ে উঠে তাকে প্রবাল দ্বীপ বলে। সেন্টমার্টিন যেহেতু প্রবালের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে তাই তাকে প্রবাল দ্বীপ বলা হয়।
৩১. প্রবাল প্রাচীর কি
উঃ পৃথিবীর ক্রান্তীয় অঞ্চলের উষ্ণ সামুদ্রিক এলাকার অগভীর সমুদ্র মঞ্চের ওপর সবুজ, হলুদ, গোলাপি, সাদা ইত্যাদি নানা রঙের প্রবাল কীটের চুনময় দেহাবশেষ সঞ্চিত হয়ে যে অতি দীর্ঘাকৃতি বা বলয়াকৃতি সামুদ্রিক ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়, তাকে প্রবাল প্রাচীর বা কোরাল রিফ বলে।
৩২. কোরাল কি?
উঃ প্রবাল হল অ্যান্থজোয়া শ্রেনীভূক্ত সামুদ্রিক প্রাণী। এদের নিকটাত্মীয় হল সাগর কুসুম। এরা সাগর কুসুমের মতই পলিপ তৈরি করে, তবে সাধারণত এরা কলোনি তৈরি করে বসবাস করে। কলোনির সমস্ত পলিপ জিনগত ভাবে (জেনেটিক্যালি) অভিন্ন হয়।
৩৩. ব্রহ্মপুত্র নদী কোথা থেকে সৃষ্টি হয়েছে
উঃ মানস সরোবর
৩৪. পৃথিবীর গড় উষ্ণতা কত
উঃ 15 ডিগ্রী
৩৫. পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের উপর কি প্রভাব
উঃ জলবায়ুর পরিবর্তন মানবসমাজের কাছে অত্যন্ত বিপজ্জনক ঘটনা। উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিক থেকে পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ০.৩ থেকে ০.৬০ সেলসিয়াস বেড়ে গিয়েছে। আমাদের কাছে এই বৃদ্ধি অতি অল্প মনে হতে পারে কিন্তু এর ফলে নিম্নলিখিত বিপর্যয়গুলি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
কৃষি
জনসংখ্য‌ার বৃদ্ধি খাদ্য‌ের চাহিদাও ক্রমশ বাড়াচ্ছে। এর ফলে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর ক্রমশ চাপ বাড়ছে। জলবায়ুর পরিবর্তন বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটাবে এবং তা সরাসরি কৃষি উৎপাদনের উপর প্রভাব ফেলবে। তা ছাড়া মাটির গুণাগুণ, কীট এবং রোগের চরিত্রের উপরও জলবায়ু পরিবর্তনের পরোক্ষ প্রভাব পড়বে। বলা হচ্ছে, ভারতে খাদ্যশস্য‌ের উৎপাদন কমতে পারে। চরম জলবায়ু যেমন প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত, উচ্চ তাপমাত্রা, বন্য‌া, খরা প্রভৃতি শস্য‌ উৎপাদনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
আবহাওয়া
উষ্ণ জলবায়ু বৃষ্টিপাতের ধারা পরিবর্তন করে বন্য‌া ও খরার প্রকোপ বাড়াবে, গ্লেসিয়ার ও মেরুর বরফ-চাদর আরও বেশি করে গলবে, ফলে সমুদ্রের জলস্তর বাড়বে। বলা হচ্ছে, গত কয়েক বছরে ঘূর্ণিঝড় ও হারিকেন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ তাপমাত্রার বৃদ্ধি।
সমুদ্রের জলস্তর বাড়া
জলবায়ুর পরিবর্তনের অন্যতম পরিণাম হল সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে যাওয়া। মহাসমুদ্র উত্তপ্ত হওয়া, গ্লেসিয়ার ও মেরুর বরফ-চাদর ক্রমাগত গলে চলার ফলে এই শতাব্দীতেই সমুদ্রের জলস্তর প্রায় আধ মিটার পর্যন্ত বেড়ে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সমুদ্রতল বেড়ে গেলে উপকূলবর্তী অঞ্চলে তার খারাপ প্রভাব পড়বে –ভূমিক্ষয় ও প্লাবনের ফলে জমির পরিমাণ কমবে, বন্য‌া বেশি হবে, সমুদ্রের লোনা জল ঢুকে পড়বে বসতি অঞ্চলে। যার ফলে উপকূলবর্তী অঞ্চলের কৃষিকাজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, পানীয় জলের উৎসের উপরও প্রভাব পড়বে এবং মানুষের বসতি, রুজি ও স্বাস্থ্য‌ের উপরও এই ঘটনার খারাপ প্রতিক্রিয়া হবে।
স্বাস্থ্য‌
বিশ্ব উষ্ণায়ন মানুষের স্বাস্থ্যে সরাসরি প্রভাব ফেলবে। তাপজনিত মৃত্য‌ুর সংখ্য‌া বেড়ে যাবে, সংক্রামকের রোগের বিস্তার হবে, ডিহাইড্রেশন হবে, অপুষ্টি বাড়বে এবং জনস্বাস্থ্য‌ের পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
অরণ্য‌ এবং বন্য‌প্রাণী
স্বাভাবিক প্রকৃতিতে বড় হওয়া উদ্ভিদ এবং প্রাণীজগত জলবায়ু পরিবর্তনের ব্য‌াপারে মারাত্মক রকম সংবেদনশীল। যদি জলবায়ু পরিবর্তনের হার বাড়তে থাকে তা হলে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী পৃথিবী থেকে মুছে যেতে পারে।
৩৬. নোনা জলের কয়েকটি মাছের নাম লেখ
উঃ প্রমফেট , টুনা
৩৭. সান স্টোক কি
উঃ সান স্ট্রোক (sun stroke) এক ধরনের অসুস্থতা, যা অত্যধিক গরমের কারণে হয়ে থাকে। এই অসুখে শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ᱸ ফারেনহাইট-এর বেশি এবং সাথে শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়।
৩৮. ডায়রিয়া হলে আমাদের কি করতে হয়
উঃ
 ১. ডায়রিয়া হলে প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে।
২. প্রথমে ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে দিনে আট থেকে ১০ গ্লাস তরল খাবেন।
৩. প্রতিবার টয়লেটে যাওয়ার পর এক কাপ পরিমাণে তরল খাবার খাওয়া উচিত।
৪. ডায়রিয়া হলে উচ্চ পটাশিয়ামযুক্ত খাবার যেমন– কলা, আলু ও ফলের রস খাওয়া যাবে।
৫. পিনাট বাটার, চমড়াছাড়া মুরগি বা টার্কিও ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
৬. পায়খানার সঙ্গে রক্ত যায়, প্রসাবের পরিমাণ কমে যায়, অতিরিক্ত জল পিপাসা লাগে, মুখ শুকিয়ে যায় এবং শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়লে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
৩৯. গাছের বীজের অঙ্কুরোদগমের জন্য কি কি প্রয়োজন
উঃ বীজের অঙ্কুরোদগমের জন্য জল, বাতাস, তাপ সঠিক মাত্রায় প্রয়োজন ।
৪০. অভিস্রবণ কি
উঃ দুটো ভিন্ন ঘনত্বের দ্রবণ একটি অর্ধভেদ্য পর্দা দিয়ে পাশাপাশি আলাদা করে রাখলে পর্দা ভেদ করে কম ঘন দ্রবণ থেকে অধিক ঘন দ্রবণের দিকে দ্রাবক অণু প্রবেশ করার প্রক্রিয়াকে অভিস্রবণ বলে।
৪১. অঙ্কুরোদ্গকম কয় প্রকার ও কি কি
উঃ দুই প্রকার 1.মৃদগত অঙ্কুরোদগম 2. মৃদভেদী অঙ্কুরোদগম
৪২. আলু গা তড়িৎ ছের কোন অংশ আমরা খাই?
উঃ কাণ্ড
৪৩. পেঁয়াজ গাছের কোন অংশ আমরা খাই?
উঃ কাণ্ড
৪৪. গাজর গাছের কোন অংশ
উঃ কাণ্ড
৪৫. কার্য ক্ষমতার সম্পর্কটি লেখ
উঃ কৃতকার্য = ক্ষমতা × সময় ; ইহাই কার্য ও ক্ষমতার মধ্যে সম্পর্ক।
৪৬. ত্বরণ কাকে বলে
উঃ সময়ের সাপেক্ষে বেগ পরিবর্তনের হার কি তরণ বলে।
৪৭. রাসায়নিক বিক্রিয়া কি
উঃ যে প্রক্রিয়ায় এক বা একাধিক পদার্থের আণবিক গঠন পরিবর্তিত হয়ে ভিন্নধর্মী এক বা একাধিক নতুন পদার্থ উৎপন্ন হয় অর্থাৎ যে প্রক্রিয়া এক বা একাধিক পদার্থের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটায় এবং তার ফলে সম্পূর্ণ নতুন ধর্ম বিশিষ্ট এক বা একাধিক পদার্থ উৎপন্ন হয় তাকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে।
৪৮. নির্দেশক বলতে কী বোঝো
উঃ যেসব পদার্থ নিজেদের বর্ণ পরিবর্তনের মাধ্যমে কোনো দ্রবণের অ্যাসিডীয় বা ক্ষারকীয় প্রকৃতি নির্দেশ করে এবং আয়তনিক বিশ্লেষণে বিক্রিয়ার সমাপ্তি বিন্দু বা শেষ বিন্দু নির্দেশ করে, তাদের নির্দেশক বলে। যেমন— লিটমাস কাগজ, মিথাইল অরেঞ্জ ইত্যাদি।
৪৯. সোডিয়াম ও পটাশিয়াম কি কাজে ব্যবহৃত হয়
উঃ সোড়িয়াম-- সোডিয়াম আয়ন কোশের অভিস্রবণ চাপ, পেশির সংকোচন এবং বৃক্কের স্বাভাবিক কাজ নিয়ন্ত্রণ করে , দেহের ভারসাম্য বজায় রাখে দেহের অ্যাসিড এবং ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রখে।
পটাশিয়াম--- পটাশিয়াম আয়ন প্রাণী দেহের বৃদ্ধি রক্ত গঠন এবং অভিস্রবণ চাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
উদ্ভিদ দেহের ক্লোরোফিল সংশ্লেষ প্রোটিন সংশ্লেষণ এবং পত্ররন্ধের উন্মোচনে সাহায্য করে।
৫০. তাপ ও তড়িৎ কি?
উঃ তাপ--- তাপ হল এক প্রকার শক্তি যা গ্রহণ করলে কোন বস্তু উত্তপ্ত হয় এবং বর্জন করলে বস্তু শীতল হয়।
 তড়ি-- তড়িৎ ৎ বা বিদ্যুৎ হল এক প্রকার শক্তি যা তড়িৎ আধানের স্থিতি বা গতির ফলস্বরূপ সৃষ্টি হয়।

Comments

Popular posts from this blog

WBBSE CLASS 9 1ST CHAPTER (জীবন ও তার বৈচিত্র)

অষ্টম শ্রেণীর দ্বিতীয় পর্যায় পরীক্ষার কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর

Physical Excercise